হামীম গ্রুপের জিএমকে অপহরণপূর্বক হত্যায় জড়িত ৪ জন আসামীর সবাইকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
হামীম গ্রুপের জিএমকে অপহরণপূর্বক হত্যায় জড়িত ৪ জন আসামীর সবাইকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
নিজস্ব প্রতিবেদক
হামীম গ্রুপের জিএমকে অপহরণপূর্বক হত্যায় জড়িত ৪ জন আসামীর সবাইকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। সর্বশেষ আসামীকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
গত ২৩ তারিখ আনুমানিক ১৫৩০ ঘটিকার পর হতে হামিম গ্রুপের জিএম মোঃ আহসানুল্লাহ অফিস ত্যাগের পর হতে নিখোঁজ হন।ভিকটিম এর পরিবারের এ সংক্রান্তে র্যাবের নিকট হামিম গ্রুপের কোম্পানি প্রতিনিধি সহ অভিযোগ করেন।
অভিযোগ করার সময় তারা জানান, যে ড্রাইভার সাইফুল ভিকটিম নিখোঁজ হওয়ার পর হতে সন্দেহজনক কথাবার্তা বলছে। ভিকটিমের পরিবার সন্দেহের কারণে তাকে আটক করেন এবং পুলিশের হাতে হস্তান্তর করার জন্য প্রস্তুতি নেন। ঠিক এ সময় ড্রাইভার সাইফুল ওয়াশরুমে যাওয়ার নাম করে সুকৌশলে পালিয়ে যায়। ঠিক একই দিনে তিনি ঢাকা ত্যাগ করে নিজ বাড়ি গাইবান্ধায় গমন করেন। পরবর্তীতে ২৫ তারিখ দুপুর ১২ টার সময় জিএম আহসান উল্লাহর মরদেহ উত্তরার ১৬ নম্বর সেক্টর হতে সনাক্ত করা হয়। মরদেহ সনাক্ত করার সাথে সাথে র্যাব-১ এবং র্যাব ১৩ অপহরণ মামলায় অভিযুক্ত এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে দ্রুততম সময় অভিযান পরিচালনা করে। একই সাথে ডিএমপি ঢাকার উত্তরা জোন কর্তৃক মরদেহ সুরতহাল এবং আসামিদের বিভিন্ন আলামত সন্ধান করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। মৃতদেহ সনাক্তের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে র্যাব ১ এবং র্যাব ১৩ একটি অভিযানিক দল আসামি সাইফুলকে গাইবান্ধা থেকে এবং অজ্ঞাতনামা আসামী নূরনবীকে লালমনিরহাট থেকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, যে তাদের সাথে জড়িত তৃতীয় ব্যক্তি ইসরাফিল ওরফে ইসরান এবং সুজন ঘটনাস্থলে ছিল। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামিদের ১৬৪ ধারা জবানবন্দির জন্য পুলিশের কর্তৃক হস্তান্তর করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের সূত্র ধরে গতকাল ইসরাফিল ওরফে ইসরানকে গাজীপুরের কাশিমপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং আজকে আনুমানিক ৮:৪০ মিনিটে সর্বশেষ আসামী সুজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত তৃতীয় আসামি ইসরাফিল ওরফে ইসরান এর ব্যাপারে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে বলে জানা যায়। সর্বশেষ আসামী সুজনকে তুরাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অপহরণপূর্বক হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে প্রাথমিকভাবে ড্রাইভার সাইফুলকে সনাক্ত করা যায়। বাকি সবাই সহযোগী ছিল। তারা তুচ্ছ ঘটনা এবং লোভের আশায় ঈদের পূর্বে অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য অপহরণ করে এবং জিএম আহসানুল্লাহকে নির্যাতন করার মাধ্যমে তার মৃত্যু ঘটায়। সার্বিক তদন্ত, রিমান্ড এবং ১৬৪ ধারার জবানবন্দী আলামত সহ আনুষ্ঠানিকভাবে ডিএমপি উত্তরা জোন কর্তৃক প্রদান করা হবে।
ব্রিফিং এর মাধ্যমে র্যাব স্পষ্টভাবে বলতে চায় যে ঈদের পূর্বে, ঈদের দিন এবং ঈদের পরবর্তী সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিরলস পরিশ্রম করে যাবে র্যাব। সচেতনতার জন্য এবং সবার জ্ঞাতার্থে অপহরণ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ সবার আগে আপনারা র্যাবের নিকট অবগত করবেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ শ্রম দিয়ে এ ধরনের অপরাধ দমন করার চেষ্টা করব। বিলম্বিত অভিযোগের কারণে আমাদের প্রায় সময় অভিযানের সফলতা অর্জন করতে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয় এ কারণে আপনাদের সহযোগিতা একান্তই কাম্য।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিস্তারিত তথ্য ১ নং আসামী হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারি মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩৯), পিতা-খাজির উদ্দিন, মাতা- মোছা-আছিরন নেছা, সাং-ফলগাছা, থানা-সুন্দরগঞ্জ, জেলা-গাইবান্ধা।
নং আসামী হত্যাকান্ডের সহযোগী নূর নবী, পিতা-মোঃ জমির উদ্দিন, মাতা- মোছাঃ নুরজাহান খাতুন, সাং-হররাম উত্তর পাড়া, থানা-কালীগঞ্জ, জেলা-লালমনিরহাট।
নং আসামী হত্যাকান্ডের সহযোগী মোঃ ইস্রাফিল (১৯), পিতা-মোঃ লুৎফর রহমান, মাতা- আনজিরা বেগম, সাং- দাদন, পোষ্ট-কান্দিরহাট, থানা-পিরগাছা, জেলা-রংপুর।
নং আসামী হত্যাকান্ডের সহযোগী মোঃ সুজন ইসলাম (১৯), পিতা-মোঃ সুলতান ইসলাম, মাতা-মোছাঃ হারেছা বেগম, সাং-কুতুববস, থানা-পীরগাছা, জেলা-রংপুর।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স